দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কারিগরি ত্রুটির কারণ ও সংস্থাটির প্রযুক্তিব্যবস্থার কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল সোমবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন বিঘ্নিত হয়। ফলে এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেন হয়েছে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট লেনদেন হয়।
কিন্তু গতকাল সকালে লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিট পর ডিএসইর লেনদেনের যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় হঠাৎ লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউস এদিন স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারেনি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, পুঁজিবাজারের জন্য এ ঘটনা অপ্রত্যাশিত। তাই ডিএসই লেনদেন যন্ত্রের সামগ্রিক কার্যক্রম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসানকে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ ওরাইসুল হাসান, সিসিবিএলের মহাব্যবস্থাপক ইমাম হোসাইন, সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক মঈনুল হক ও বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দস্তগীর হোসাইনকে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে লেনদেন বন্ধের পর সেই ত্রুটি সারাতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। এরপর বেলা ২টা ১০ মিনিটে পুনরায় লেনদেন চালু করা হয়। মাত্র ২০ মিনিট চলে এ লেনদেন।
কারিগরি ত্রুটির কারণে এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেন অনেক কম হয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ক্রয় বা বিক্রয়াদেশ যে যন্ত্রের মাধ্যমে কার্যকর হয়, সেখানেই কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
ডিএসইতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৫৩ কোটি টাকা কম। লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সূচকও। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৩৬ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে। ঢাকার বাজারে লেনদেন বিঘ্নিত হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।