এক ব্যবসায় মন্দা থাকলেও আরেক ব্যবসায় মুনাফা ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা; গত বছরের একই সময়ে যা ছিল শূন্য দশমিক ৫১ পয়সা। অর্থাৎ এই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে বছরের প্রথম ৬ মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল শূন্য দশমিক ৮৭ পয়সা।
গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউনিক হোটেলের শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা নগদ অর্থ প্রবাহ ছিল ৩ টাকা ৬৭ পয়সা; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৮৮ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে যা ছিল ৮৮ টাকা ৭৫ পয়সা।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটি জানিয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও বন্যার কারণে মানুষের ভ্রমণ কমে যায়। এমনকি অনেক দেশ বাংলাদেশে সাময়িকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার বন্ধ হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে হোটেল ব্যবসায় ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে হোটেল ব্যবসায় তার ক্ষতি হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৫৬ পয়সা। কিন্তু এসএফএল ইউনিক নেব্রাস মেঘনাঘাট পাওয়ার পিএলসির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ থেকে ভালো মুনাফা হওয়ায় (ইপিএস ২ টাকা ১০ পয়সা) সামগ্রিকভাবে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে।
গত অক্টোবরে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের (ওয়েস্টিন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত জুলাই মাসে আন্দোলন চলাকালে আমাদের হোটেলের কক্ষ বুকিং বা অতিথির উপস্থিতি ধারণক্ষমতার ১০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। আগস্টে তা ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে। অক্টোবরে এসে অতিথি উপস্থিতি বেড়ে ধারণক্ষমতার তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর ফলে জুলাই-আগস্টে প্রতিষ্ঠানটিকে পরিচালন লোকসান গুনতে হয়। সেপ্টেম্বরে ব্যবসায় না ছিল লাভ, না ছিল লোকসান।’
মো. সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, হোটেলের অতিথিদের ৯৮ শতাংশই বিদেশি। জুলাই থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি অতিথি কমে যাওয়ায় তাঁদের ব্যবসায় বড় ধরনের ধাক্কা লাগে।