পদত্যাগ করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান, শেষ মুহূর্তেও সালমান এফ রহমানকে দিলেন সুবিধা
পদত্যাগ করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আজ শনিবার রাত ১১টার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিএসইসির চেয়ারম্যান তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর এখন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার একইভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তার এক দিন পরেই বিএসইসির চেয়ারম্যানও একই পথ অনুসরণ করলেন। ফলে গত দুদিনে আর্থিক খাতের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদ থেকে দুই ব্যক্তি সরে দাঁড়ালেন।
শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম গত ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পান। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেওয়ার দিনই অর্থাৎ ৩ আগস্ট তিনি সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরেন।
শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে নানা অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে বিদেশি রোড শো করার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত ছিলেন। শেয়ারবাজারে কারসাজিকারকদের নানাভাবে সহায়তা করতেন কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়াতে।
এ ছাড়া তাঁর প্রশ্রয়ে শেয়ারবাজারে একটি চক্র গড়ে ওঠে। যাঁরা নানাভাবে সুযোগ–সুবিধা পেতেন শেয়ারবাজার থেকে অর্থ লোপাটে। পদত্যাগের আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সালমান এফ রহমানকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধা করে দিতেই কার্যালয়ে না এসেও বাসায় বসে তিনি এ আদেশ জারি করেন।