সপ্তাহের শুরুতে শেয়ারবাজার ইতিবাচক
বছরের শেষ মাসের শেষ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এবং লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। সেখানে মূল্যসূচক বৃদ্ধি পেলেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সব মিলিয়ে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।
ডিএসইতে আজ লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল, যা বজায় থাকে শেষ পর্যন্ত। দাম বেড়েছে ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। দাম কমেছে ১০০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৭৪টি কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।
ঢাকার বাজারে ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ নামে আরও দুটি সূচক রয়েছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। আগের দিনের তুলনায় এ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩১ পয়েন্টে উঠেছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে আজ। লেনদেন হয়েছে মোট ৩৭৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ছিল ২৮২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯২ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং এটিই গত ছয় কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), সানলাইফ ইনস্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সিটি ব্যাংক, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি, বীকন ফার্মা ও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার। আর ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স।
এদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই আজ বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট। এ বাজারে ১৮৩ কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির। সিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। এ লেনদেন আগের কার্যদিবসের ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা থেকে অর্ধেক কম।
বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। রিজার্ভ পরিস্থিতি এমন একটা জায়গায় এসেছে দাঁড়িয়েছে, যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। প্রবাসী আয়ও (রেমিট্যান্স) ভালো আসছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসী আয় ২৪২ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থবাজার (মানি মার্কেট) ভালো থাকলে পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক ধারা আসবে বলে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা।