ভারত থেকে চাল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আনা হচ্ছে

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হচ্ছে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির নীতিগত প্রস্তাব এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত প্রস্তাব আহ্বান করা হলে জমা পড়ে ৬টি দরপত্র।

জানা গেছে, সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের কাছ থেকে প্রতি টন ৪৫৮ দশমিক ৮৪ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। এই অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ফলে প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৫৫ টাকার একটু বেশি।

গত ৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজি ৫৬ টাকা ১২ পয়সা এবং ১৮ ডিসেম্বর ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৫০ হাজার টন করে ভারত থেকে একই ধরনের চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল ক্রয়–সংক্রান্ত কমিটি।

এদিকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জি এলপি নামক কোম্পানি থেকে। এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৬৯ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৭৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দুই মাস আগের তুলনায় আজ অনুমোদিত প্রস্তাবে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে আড়াই ডলার করে বেশি দাম পড়ছে।

সূত্রগুলো জানায়, এ দুই প্রস্তাবের বাইরে আরও দুটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে আজ। একটি হচ্ছে ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (সওজ অংশ)’ ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজের জন্য নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি। দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং ১৮ মাস মেয়াদ বাড়িয়ে এর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭৮ টাকা।

অন্য প্রস্তাবটি হচ্ছে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ২০০ শয্যার ১০ তলাবিশিষ্ট একটি নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের পূর্ত কাজ। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে যৌথভাবে এ কাজ পেয়েছে বিটিসি এবং এপিএল। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।