মিয়ানমার থেকে এল ৬০০ টন পেঁয়াজ

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে আসা পেঁয়াজ খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার বিকেলে টেকনাফ স্থলবন্দরেছবি-প্রথম আলো।

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে আরও ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে। আজ সোমবার ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে ছেড়ে আসা দুটি কার্গো ট্রলারে পেঁয়াজ, শুঁটকি, আচার, শুকনা সুপারিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী টেকনাফে এসে পৌঁছেছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. আনোয়ার হোসেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১ মাস পর মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলারে ৩৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজের একটি চালান টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছিল। তাতে পাঁচ দিনের ব্যবধানে এ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্যে অচলাবস্থা চলছে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক মাস ধরে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি বা সে দেশে রপ্তানি করতে পারছেন না।

টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে ৯৭৩ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এর পরপরই মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় আমদানিকারক ওমর ফারুক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, মিয়ানমার থেকে তাঁরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৭৮ টাকায়, এর সঙ্গে পরিবহন খরচ পড়েছে ৫ টাকা। তাঁরা অল্প মুনাফায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮৬ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করবেন। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আরও দুই হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

সরেজমিনে আজ বিকেলে টেকনাফ স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ট্রলার থেকে শ্রমিকেরা পেঁয়াজ খালাস করছেন। মিয়ানমার থেকে পণ্য আসায় শ্রমিকেরা খুশি। স্থলবন্দরের শ্রমিকনেতা আলী আজগর মাঝি বলেন, স্থলবন্দরের ছয়টি জেটির মধ্যে পাঁচটি জেটি খালি পড়ে আছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম না থাকায় প্রায় ছয় শতাধিক শ্রমিক অলস সময় পার করছেন।

স্থলবন্দরের শ্রমিকনেতা মাঝি কবির আহমদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের পণ্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে থেমে থেমে মিয়ানমার থেকে কিছু কিছু পণ্য আসছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বাণিজ্যে একধরনের অচলাবস্থা চলছে। এ কারণে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা দুশ্চিন্তায় জীবন যাপন করছেন।