লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি চার সংগঠনের
লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে পোশাক খাতের চার সংগঠন। আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ হারিয়েছে পোশাক খাত এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি হারিয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ পোশাক খাতের ১ হাজার ১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৮ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছে। ৯০ শতাংশ প্রত্যাহার হলেও মূল্যছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে।
মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ‘গত বছর সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তীতে দুই ঈদে শ্রমিকেরা যেভাবে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, আমরা সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছি। আমাদের আশঙ্কা লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অনেক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই শ্রমিকেরা যদি শহর ছাড়েন, তবে তা দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সার্বিক দিক বিবেচনায় রপ্তানিমুখী পোশাক খাতসহ বস্ত্র খাতের সহযোগী শিল্পগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হোক।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে চলাচলে ৭ দিনের বিধিনিষেধ আরোপ হয়। আজ রোববার জানানো হয়েছে কাল সোম ও মঙ্গলবার (১২ ও ১৩ এপ্রিল) চলমান লকডাউন ধারাবাহিক থাকবে। অর্থাৎ এখন যে বিধিনিষেধ চলছে তা ১২ ও ১৩ এপ্রিলও বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন।