পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫.৮৫%
টানা দুই মাস বৃদ্ধির পর আবারও পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় ফিরছে। বিদায়ী অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত ১৯২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। গত বছরের ১ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২০৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেলেও অক্টোবরে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফ্রান্সে লকডাউন চলছে।
পোশাকশিল্প নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম ও মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিসের (এমএফও) যৌথ আয়োজনে গত রাতে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক এসব কথা বলেন।
মূল প্রবন্ধে এমএফও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী গাই স্টুয়ার্ট বলেন, পোশাক কারখানায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা গত মে মাসে যথাক্রমে ১৭৪ ও ১৭৬ ঘণ্টা কাজ করেছেন।
মূল প্রবন্ধে এমএফও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী গাই স্টুয়ার্ট বলেন, পোশাক কারখানায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা গত মে মাসে যথাক্রমে ১৭৪ ও ১৭৬ ঘণ্টা কাজ করেছেন। গত মাসে সেটি বেড়ে ২৪০ ও ২৫৫ ঘণ্টা হয়েছে। করোনার আগে গত বছর শ্রমিকেরা মাসে গড়ে ২৪৬ ঘণ্টা কাজ করেন।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির প্রধান নির্বাহী কল্পনা আক্তার বলেন, খরচ কমাতে অধিকাংশ কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই করেছে।
ওয়েবিনারে অংশ নেন আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পৌতিয়াইনেন, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানেমের চেয়ারম্যান বজলুল হক খন্দকার।