ইপিবি
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা মার্চে
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হতে যাচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে। অংশ নিতে বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাবে ইপিবি।
প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে হলেও এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) হচ্ছে পূর্বাচলে। জায়গাটি শেরেবাংলা নগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। পূর্বাচলে নবনির্মিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে হবে এ মেলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ তা শুরু হবে।
মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) অবশ্য এক মাস আগেই ২৬তম ডিআইটিএফ করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৭ মার্চ ডিআইটিএফের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রও উদ্বোধন করা হবে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে ২০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। সেখানে ৯ বর্গফুট আয়তনের ৮০০টি স্টল রয়েছে। ফলে শেরেবাংলা নগরের মতো বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। কয়েক তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নও দেখা যাবে না। সব মিলিয়ে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমতে পারে।
পূর্বাচলেও দর্শনার্থীদের টিকিট কেটেই মেলায় প্রবেশ করতে হবে। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান প্রথম আলোকে বলেন, মেলায় প্রবেশ টিকিটের দাম আগেরবারের মতোই থাকছে। তবে ভিড় এড়াতে অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধাও থাকবে। তিনি আরও জানান, মেলায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠানো হবে।
স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র করার জন্য ২০০৯ সালে প্রাথমিকভাবে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরের ৩৯ একর খালি জায়গা নির্ধারণ করা হয়। পরে সেখানে জায়গা না পাওয়ায় প্রকল্পটি পূর্বাচল উপশহরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনুদান দেয় চীন সরকার। জমি বাবদ সরকার দিয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলের এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। প্রদর্শনী কেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন ঢেউখেলানো ছাদের নিচে ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হলে আছে ৮০০টি স্টলের ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রদর্শনীস্থলে সম্মেলনকক্ষ, খাবারের জন্য বিশাল কক্ষ ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা রয়েছে।
ইপিবির কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে সারা বছর সোর্সিং ও পণ্য প্রদর্শনী হবে। সে জন্য পাঁচ তারকা হোটেল, নতুন প্রদর্শনী কেন্দ্র, ভূগর্ভস্থ পার্কিং ইত্যাদি করা হবে। এসব স্থাপনার জন্য ইতিমধ্যে বাড়তি জমি পাওয়া গেছে।