শতভাগ কারখানায় বেতন–ভাতা পরিশোধের দাবি বিজিএমইএর

বিজিএমইএ

ঈদের ছুটির আগে শতভাগ পোশাক কারখানা বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছে বলে দাবি করেছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি আজ বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত শতভাগ কারখানা শ্রমিকদের মার্চের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে।

এদিকে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৫৬১টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ২৮৯টি কারখানা শ্রমিকদের গত মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঈদের বোনাস দিয়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশ কারখানা। শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত বেতন ও বোনাস পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে শতভাগের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে।

যেসব পোশাক কারখানা খোলা ছিল, তার বেশির ভাগ আজ মঙ্গলবার বেতন-বোনাস পরিশোধ করে ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই অনেক কারখানা শেষ দিনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান করেছে। এ কারণে দিন শেষে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কারখানার সংখ্যা বেড়েছে।

বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা হতে পারে এ রকম ৪৫০টি কারখানা তারা চিহ্নিত করে নিবিড় তদারকিতে রেখেছিল। এসব কারখানা সমস্যা বুঝে তা সমাধানে উদ্যোগ নেন সংগঠনটির নেতারা। এর মধ্যে ২৬টি কারখানা বিজিএমইএর সরাসরি হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখায় পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

এদিকে শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শিল্পকারখানার মধ্যে ৩ হাজার ৭৮৪টি বা প্রায় ৪০ শতাংশ কারখানা আজ থেকে ঈদের ছুটি দিয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৬ হাজার কারখানা শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিয়েছে। এর বাইরে এসব এলাকার প্রায় ১০০ কারখানা ঈদের মধ্যেও আংশিক খোলা থাকবে।