এবার এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল ১৬ প্রতিষ্ঠান
এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডসের দ্বিতীয় সংস্করণে (২০২৪) দেশের ৩৯টি টেকসই উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আকিজবশির গ্রুপের সৌজন্যে আয়োজিত এ সম্মাননার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া।
ইনটেলিয়ার সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ১৬টি বিজয়ী ও ২৩টি অনারেবল মেনশন পাওয়া ব্র্যান্ডকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে আমাদের সবাইকে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এসব সম্মাননা কেবল অর্জনের স্বীকৃতি নয়; বরং সহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতির বাস্তব উদাহরণ।’
আয়োজকেরা জানান, এ বছর মোট নয়টি শ্রেণিতে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ১২ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত পুরস্কারের জন্য নিবন্ধন নেওয়া হয়। তাতে মোট ৩৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। সেখান থেকে আটটি গ্র্যান্ড জুরি প্যানেলে ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন বাংলাদেশের উত্থানে ব্র্যান্ডগুলোর টেকসই চর্চার গুরুত্ব অনেক। সমাজ ও পরিবেশের বৃহত্তর স্বার্থে মানুষের আচরণ প্রভাবিত করার সক্ষমতা রয়েছে ব্র্যান্ডগুলোর। তারা নিজেদের মূল কার্যক্রমে টেকসই প্রবণতা অন্তর্ভুক্ত করছে। এর মাধ্যমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তুলছে। পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য আরও ন্যায়সংগত, সমতাপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি সামিট ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে আকিজবশির গ্রুপ, ইনটেলিয়ার ও দ্য ডেইলি স্টার। সামিটে প্রবন্ধ উপস্থাপন ও প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা। সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ ও এসডিজি চর্চায় ব্র্যান্ডগুলোর সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া উদীয়মান এসডিজি প্রবণতা ও উদ্ভাবনের বিষয়েও কথা হয়।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেন আকিজবশির গ্রুপের চেয়ারম্যান সেখ বশির উদ্দিন আহমেদ; ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এমডি জাভেদ আখতার; বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের এমডি রূপালী চৌধুরী; প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) চেয়ারম্যান মো. সবুর খান; এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির গ্রুপ সিইও কে এ এম মাজেদুর রহমান; ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার; ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন; মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।