চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে বড় রপ্তানি খাত হিসেবে দেখতে চান বাণিজ্য উপদেষ্টা
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে একটি বড় রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি করতে চান বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের চামড়াশিল্পের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা খুবই অভিজ্ঞ। এ খাতের সুবিধা হলো এর কাঁচামাল দেশীয়। খাতটিকে সহায়তা করলে রপ্তানি বাড়বে।
সচিবালয়ে আজ রোববার বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথাগুলো বলেন। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চামড়া খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাতের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণের বড় সুযোগ আছে। শুধু রপ্তানি নয়, দেশের অভ্যন্তরেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সম্ভাবনা ও সমস্যা আছে। তাঁদের ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানকার পরিবেশগত দিক, অর্থায়ন, রপ্তানিতে চামড়ার সার্টিফিকেশন নিয়ে আলাপ হয়েছে।
বিএফএলএলএফইএর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, বিসিক শিল্পনগরে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো শতভাগ রপ্তানিমুখী। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) অসম্পূর্ণ থাকার কারণে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারদরের চেয়ে ৭০–৮০ শতাংশ কম দামে চীনের কাছে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা এম এ রাশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা টাকাপয়সা চাইনি। আমাদের হাজারীবাগ থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সাভারে। আমাদের এ জায়গাগুলোকে (হাজারীবাগ) রেড জোন করে রাখা হয়েছিল। আমরা ওখানে (সাভারে) গিয়ে ব্যবসা করতে পারিনি। সিইটিপি ঠিক নেই। সব মিথ্যা কথা বলেছিল। কোনো অবকাঠামো ঠিক করা হয়নি, অথচ আমাদের নিয়ে গেছে। উপদেষ্টাকে কথাগুলো জানিয়েছি।’