২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তাঁতপণ্য মেলায় পণ্য বিক্রি হয়েছে ৫০ লাখ টাকার

রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্য মেলা।
ছবি: সংগৃহিত

চলতি মাসে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্য মেলায় (হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল) প্রায় ৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে প্রায় ২৮ লাখ টাকার। আজ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মফিজুর রহমান।

৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্য মেলা। চার দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনারস বাংলাদেশের (এএফডিবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় সহযোগিতা করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, মেলায় প্রায় ৫০টি স্টলে দেশি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শিত হয়। উপস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক। বাংলাদেশের গৌরবময় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অংশ ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্যের প্রস্তুতকারক ও শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়।

মফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আয়োজন সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে মেলার পরিসর আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে আমাদের। আমরা এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এককভাবে মেলাটি করতে চাই অথবা আমাদের জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় বড় করে আলাদা একটি কর্নার করে দেব।’

ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্যের প্রচার ও প্রসারে ২০১৮ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করছে সংস্থাটি। দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, খাদি, নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, শতরঞ্জি, পটচিত্র, রিকশা পেইন্ট, জুয়েলারি, টেরাকোটা, পিতল, কাঁসা, শঙ্খ, মণিপুরি কাপড়, রাঙামাটির চাকমাসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাপড়, হস্তশিল্প; পাটজাত, বাঁশ ও বেতজাত পণ্য প্রদর্শন করা হয় মেলায়।