মাথাপিছু আয় টাকায় বেড়েছে, তবে ডলারে কমেছে
দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় স্থানীয় মুদ্রা টাকায় বেড়েছে, তবে ডলারের হিসাবে কিছুটা কমেছে। মূলত টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ২ লাখ ৭০ হাজার ৪১৪ টাকা। গত অর্থবছরে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা। ফলে স্থানীয় মুদ্রায় এক বছরের ব্যবধানে ২৯ হাজার ৩৬৭ টাকা আয় বেড়েছে।
অন্যদিকে ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমে গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে তা কমে ২ হাজার ৭৬৫ ডলার হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় ২৮ ডলার কমেছে।
ডলারের হিসাবে কেন মাথাপিছু আয় কমে গেল—এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিবিএসের জাতীয় আয় শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই মুদ্রায় মাথাপিছু আয় কিছুটা কমেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গত অর্থবছরের মাথাপিছু আয়ের হিসাব করা হয়েছিল প্রতি ডলারের দাম ৮৬ টাকা ৩০ পয়সা ধরে। এ বছর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৮১ পয়সা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানিয়েছিলেন যে ডলারে মাথাপিছু আয় কমার কারণ মার্কিন এই মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধি। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু আয় কমে গেছে।
মাথাপিছু আয় কোনো একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত আয় নয়। একটি দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে যত আয় হয়, তা দেশের সব মানুষের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে এই হিসাব করা হয়।
এ দিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও কমেছে। সাময়িক হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ কিছুটা কমে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে।