নতুন কর অঞ্চল আট জেলায়, বড় সম্প্রসারণে যাচ্ছে আয়কর বিভাগ
আট জেলায় নতুন কর অঞ্চল হচ্ছে। জেলাগুলো হলো—নরসিংদী, ফরিদপুর, কক্সবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নোয়াখালী ও পাবনা। এর ফলে করসংক্রান্ত বেশির ভাগ কাজের জন্য করদাতাদের দূরে যেতে হবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগ মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। এই সম্প্রসারণ কার্যক্রমে নতুন ২৮টি কর অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়েছে। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর।
বর্তমানে ৩১টি কর অঞ্চল আছে। এসব কর অঞ্চল দিয়ে এলাকা ও বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আয়কর বিভাগ।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী কর অঞ্চলের আওতায় নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলা; ফরিদপুর কর অঞ্চলে গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা; কক্সবাজার কর অঞ্চলে কক্সবাজার জেলা; যশোর কর অঞ্চলে যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলা; কুষ্টিয়া কর অঞ্চলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলা; নোয়াখালী কর অঞ্চলে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী; দিনাজপুর কর অঞ্চলে দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা এবং পাবনা কর অঞ্চলে পাবনা ও নাটোর জেলা থাকবে।
এসব জেলার ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতারা কর দেবেন এবং তাঁদের করসংক্রান্ত সব কার্যক্রম এসব কর অঞ্চল থেকে পরিচালিত হবে। এ ছাড়া তাঁদের কর নথি সংরক্ষিত থাকবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন কর অঞ্চলগুলোর কার্যক্রম শুরু করতে একটু বিলম্ব হবে। আগে নতুন জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামোর সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তবে আয়কর বিভাগের নতুন সম্প্রসারণ কার্যক্রম আগামী জুলাইয়ে শুরু হবে।
এ ছাড়া চারটি বিশেষায়িত নতুন কর অঞ্চল হচ্ছে। যেমন কর ফাঁকি ধরার জন্য আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট করা হবে। এ ছাড়া বিদেশে টাকা পাচারসহ আন্তর্জাতিক চুক্তি ও ট্রান্সফার প্রাইসিং এসব বিষয় দেখভালের জন্য আন্তর্জাতিক কর ইউনিট হচ্ছে। এ ছাড়া ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিট এবং উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিট নামে নতুন কর অঞ্চল হবে।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, এখন ঢাকায় ১৫টি কর অঞ্চল আছে। এগুলোকে ২৫টি কর অঞ্চলে পুনর্গঠিত হবে। চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চল ছয়টিতে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কর অঞ্চল বিভক্ত হবে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, কর আদায় বাড়াতে এই খাতের সংস্কারের বিকল্প নেই। কর দেওয়ার সুবিধা করদাতাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বন্ধ করতে হবে দুই পক্ষের দেখাদেখি। মাঠপর্যায়ে কর কার্যালয় বাড়ালেই হবে না, অটোমেশন জোর দিতে হবে।