অর্থনীতি সমিতিতে হামলায় জড়িতদের বিচার চাইল অন্তর্বর্তী কমিটি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অর্থনীতি সমিতির অন্তবর্তী কমিটির সদস্যরা। আজ পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়েছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিচার চাইলেন সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ অডিটরিয়ামে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ, সদস্যসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য মোস্তফা সাইফুল আনোয়ার বুলবুল প্রমুখ। কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলনের নাম করে অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে হামলা চালায় সমিতির স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটি, যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্রবিরোধী ও বিধিবহির্ভূতভাবে গঠিত। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটার দিকে সমিতির কার্যালয়ে সশস্ত্র আক্রমণ, সিসিটিভি ভাঙচুর এবং ব্যাংকের চেকবইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েব করা হয়।

সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা দাবি করেন, এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুর রহমান এবং ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের নেতৃত্বদানকারী সাবেক যুগ্ম সচিব সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের ৫০-৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার। অর্থনীতি সমিতিতে আবারও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নিয়েই যে এই লোকজন একত্র হয়েছেন। গঠিত তথাকথিত অ্যাডহক কমিটিতে ৮–১০ জন আছেন, যাঁরা অর্থনীতি সমিতির সদস্যই নন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২৯ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে গত ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায়ী কমিটি।

অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ বলেন, সমিতির যেকোনো সদস্য যেকোনো দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন; দাবি জানাতে পারেন। এ ধরনের অপেশাদার মনোভাব নিয়ে দখল, হামলা ও জিম্মি করে কিছু আদায়ের হীন প্রচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বর্তমান সরকারকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সদস্যসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। খুব দ্রুতই একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে যাঁরাই নেতৃত্বে আসবেন, তাঁদের কাছে সমিতির দায়িত্ব তুলে দেওয়াই অন্তর্বর্তী কমিটির মূল লক্ষ্য। অর্থনীতি সমিতির ঐতিহ্য রক্ষায় সব সদস্যকে দায়িত্বশীল আচরণ ও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।