এলএনজি টার্মিনাল বাতিলের নোটিশ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাল সামিট

প্রতীকী ছবিরয়টার্স

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তরের জন্য নতুন একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তি করেছিল সামিট। সরকার পরিবর্তনের দুই মাস পর ওই চুক্তি বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা। বাতিলের নোটিশটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করে সামিট বলেছে, এলএনজি টার্মিনাল বাতিলে পেট্রোবাংলার নোটিশটি অবৈধ। এটির বিলম্বিত বাস্তবায়নে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় আরও অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। এতে বলা হয়, পেট্রোবাংলা টার্মিনাল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় গত ৭ অক্টোবর। এটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করে ১৪ অক্টোবর পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেয় সামিট। এর জবাবে ১৪ জানুয়ারি চুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত নোটিশ দেয় পেট্রোবাংলা। ১৫ জানুয়ারি আবার নিজেদের পক্ষে আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে চিঠি পাঠিয়েছে সামিট। এর উত্তর পায়নি তারা।

সামিটের দাবি, চুক্তির কোনো শর্তের ব্যত্যয় হলে ৩০ দিনের মধ্যে আপত্তি জানাতে হবে। পেট্রোবাংলা তেমন কোনো আপত্তি জানায়নি। ফলে চুক্তি বাতিলের অধিকার পেট্রোবাংলার নেই। ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৮ জুন। ওই দিন ছিল শুক্রবার, পরবর্তী দিন ২৯ জুন ছিল শনিবার। দুদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। তাই ৩০ জুন রোববার এটি জমা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের আইন অনুসারে শেষ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পাদন করা যায়।

এলএনজি আমদানি করে সরবরাহের জন্য বর্তমানে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ও অন্যটি সামিটের। এ দুটি থেকে নিয়মিত এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এর বাইরে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণে সামিটের সঙ্গে চুক্তি হয় গত বছরের ৩০ মার্চ। টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি সরবরাহের আরেকটি চুক্তিও হয় সামিটের সঙ্গে।