ডলারের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেওয়া হলেও চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। প্রবাসীরা এভাবে আয় পাঠালে মাস শেষে তা ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত জুলাই ও আগস্টেও আয় ২ বিলিয়নের বেশি ছিল।
এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ প্রবাসী আয় পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। আর গত সপ্তাহ থেকে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের জন্য ১০৮ টাকা দাম দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এর পরও প্রবাসী আয় আসা কমেনি। গত আগস্ট মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২০৪ কোটি ডলারের আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন। জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ২১০ কোটি ডলার। গত জুনে এসেছিল প্রায় ১৮৪ কোটি ডলার।
ডলারের তেজ কমছে
এদিকে দেশে ডলারের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা ছিল, তা ইতিমধ্যে কমে এসেছে। দামও ধীরে ধীরে কমছে। গতকাল ব্যাংকগুলো প্রবাসী
ও রপ্তানি আয়ে ডলার ক্রয়ে সর্বোচ্চ দাম দিয়েছে ১০৭ টাকা। আর বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।
জানা গেছে, ইসলামী, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কৃষি ও রূপালী ব্যাংক প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বিলে প্রতি ডলার দাম দিয়েছে গড়ে ১০৭ টাকার বেশি। ১০৬ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বিলের ডলার কিনেছে গ্লোবাল ইসলামী ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। আর ১০৫ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বিলের ডলার কিনেছে স্ট্যান্ডার্ড, সোনালী, পূবালী ও ডাচ বাংলা ব্যাংক। তবে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বিলের ক্ষেত্রে সব ব্যাংক মিলে ডলারের যে দাম দিয়েছে তাতে প্রতি ডলারের গড় দাম ছিল ১০২ টাকা ৫৫ পয়সা।