২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জটিল চ্যালেঞ্জে পাকিস্তানের অর্থনীতি, ঝুঁকিও অনেক বেশি: আইএমএফ

কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা প্যাকেজ পেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু দেশটির অবস্থা এতই সঙিন যে আইএমএফ মনে করছে, দেশটির আরও সহায়তা কর্মসূচি দরকার।

সম্প্রতি পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ১২০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দিয়েছে আইএমএফ। সেখানে তারা বলেছে, পাকিস্তানের যেসব কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে আছে দীর্ঘমেয়াদি ব্যালান্স অব পেমেন্টের চাপ। ফলে বর্তমান কর্মসূচি যথেষ্ট নয়; এর বাইরেও পাকিস্তানের ধারাবাহিক সহায়তা ও সমন্বয় কর্মসূচি দরকার। পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডনের সূত্রে এই খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এই প্রতিবেদনের মেমোরেনডাম অব ইকোনমিক অ্যান্ড ফিসকাল পলিসিসের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সংঘ স্মারকে সই করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের গভর্নর জামিল আহমেদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মধ্য মেয়াদি স্থিতিশীলতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে একধরনের ‘উত্তরাধিকার পরিকল্পনা’ দরকার। সামনেই পাকিস্তানের নির্বাচন; এই নির্বাচনের পর নতুন কোনো সরকার এলে যাতে নীতিগত ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে আইএমএফ। এই প্রতিবেদনে তারা সে কথাই বলেছে। তারা আরও বলেছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির ও বহুমুখী, ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি।

পাকিস্তানের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইএমএফের সঙ্গে তাদের যে নীতিগত ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত অর্থসহায়তা দরকার পাকিস্তানের; সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় নীতিগত ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।

এই বাস্তবতায় আইএমএফ মনে করছে, পাকিস্তানের কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলায় আরও একটি সহায়তা কর্মসূচি দরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াবে। বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৫ রুপি ও গ্যাসের দাম ৪০ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে জানাবে।

চীনসহ বিভিন্ন বিদেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে দেশটি যে বিদ্যুৎ কিনছে, তার শর্ত নিয়ে আবার আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে তাদের কাছে যে ঋণ রয়েছে, তা পরিশোধে আরও সময় চেয়ে নেবে পাকিস্তান।

এ ছাড়া পাকিস্তান সরকার নতুন করে আর কোনো কর ছাড় দেবে না বলে অঙ্গীকার করেছে।

চলতি জুলাইয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে (বেল আউট) পাকিস্তানের জন্য ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ। দীর্ঘদিন দেন দরবারের পর পাকিস্তান এই ঋণ পাচ্ছে। ঋণের প্রথম কিস্তি বাবদ ১২০ কোটি ডলার শিগগিরই পাবে দেশটি।