দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এখন ৩৬৪ দশমিক ৮৫ বা প্রায় ৩৬৫ মার্কিন ডলার। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে আজ মঙ্গলবার সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সাময়িক হিসাবে দেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতির পরিমাণ প্রায় ৬২ হাজার ৩১৩ মিলিয়ন বা ৬ হাজার ২৩১ কোটি মার্কিন ডলার। যার মধ্যে বহুপক্ষীয় ঋণের স্থিতি ৩৬ হাজার ৭৮১ মিলিয়ন বা ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি ডলার। আর দ্বিপক্ষীয় ঋণের স্থিতি প্রায় ২৫ হাজার ৫৩২ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৫৩ কোটি ডলার।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সাময়িক হিসাবে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ ডলারে। ২০০৫-০৬ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল যথাক্রমে ৫৪৩ ও ৮৬৮ ডলার। ২০০৫-০৬ অর্থবছরের তুলনায় মাথাপিছু জাতীয় আয় এরই মধ্যে পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী চলতি মাসের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ হাজার ১১৭ মিলিয়ন বা ২ হাজার ১১২ কোটি ডলার।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৪০৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে, যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।