সবচেয়ে ছোট অর্থনীতির ১০ দেশ কোনগুলো, কীভাবে চলছে তারা
বিশ্বের দেশে দেশে অর্থনীতিতে খারাপ অবস্থা চলছে। কারও স্টক মার্কেট নিম্নমুখী, কেউ ভুগছে লাগামহীন মূল্যস্ফীতি নিয়ে, কারও আবার রিজার্ভের সংকট ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে সমস্যা চলছে। তবে বড় দেশগুলোর অর্থনীতির খবর আমরা নিয়মিত জানলেও ছোট দেশের খবর সচরাচর রাখি না কিংবা পাই না। জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ ছোট অর্থনীতির দেশ কোনগুলো, আর কীভাবে টিকে আছে তারা।
২০২২ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিশ্বের সবচেয়ে ছোট অর্থনীতির ১০টি দেশের কথা জানিয়েছে। ছোট অর্থনীতির এসব দেশের বেশির ভাগের অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। আইএমএফ বলছে, এসব দেশ কয়েক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য নেওয়া হয়েছে রয়টার্স, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস ওয়েবসাইট থেকে।
১. করোনায় বড় ক্ষতিতে পড়ে টুভালুর অর্থনীতি
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট দ্বীপদেশ টুভালুর অর্থনীতির আকার বিশ্বের সব স্বাধীন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। মাত্র ২৬ বর্গকিলোমিটারের দেশটির জিডিপির আকার মাত্র ৭ কোটি মার্কিন ডলার।
শিল্প ও প্রাকৃতিক সম্পদের অভাবে থাকা দেশটির আয়ের প্রধান উৎস হলো পর্যটন এবং মাছ ধরা। কোভিড মহামারির কারণে দেশটির পর্যটনশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে, যা এখনো পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি তারা।
২০২২ সালে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। দেশটিতে বেশির ভাগ নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও পরিবহন ব্যয়বৃদ্ধি দেশটিতে সংকটে ফেলেছে। গত বছর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১১ শতাংশ।
চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা সংকট মোকাবিলায় বাড়তি সরকারি ব্যয়ের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছয়টি দেশ ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে টুভালু একটি। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, সামোয়া ও টঙ্গা।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, এসব দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণ বাজার ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে প্রবেশাধিকারের অভাব রয়েছে।
২. সম্ভাবনাময় ফসফেটেই ডুবেছে নাউরুর অর্থনীতি
চার দশক আগেও (১৯৮০-এর দশকে) বিশ্বের সর্বোচ্চ জিডিপিধারী দেশগুলোর একটি ছিল নাউরু। দেশটিতে ছিল প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ফসফেটের জোগান; যা দেশটির অর্থনীতিকে সচল রাখে। কিন্তু পরবর্তী সময় এই ফসফেটই দেশটির জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে মাত্র ১৪ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ নাউরু।
নাউরুতে বেশির ভাগ ফসফেট ‘স্ট্রিপ মাইনিংয়ের’ মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ভূমির নিচে ফসফেটের খনির কাছে পৌঁছাতে বড় কয়েকটি স্তরের অপসারণ করা হয়। এটি করতে গিয়ে দ্বীপটির ভূমি অনুর্বর হয়ে যায়। বর্তমানে ২১ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপটির প্রায় ৯০ শতাংশ জায়গা শক্ত ও উন্মুক্ত প্রবালের স্তূপে আবৃত, যা সেখানে কোনো ধরনের আবাসন কিংবা কৃষিকাজের জন্য অনুপযুক্ত।
তবে অনেক অর্থনীতিবিদ বিশ্বাস করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতেও দ্বীপটির ভালো অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সুযোগ রয়েছে। যেমন দ্বীপটির ভূমির ওপর চুনাপাথর প্রবালের যে স্তূপ রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে খনন ও রপ্তানি করা যেতে পারে। এ ছাড়া ডলোমাইটের মতো আরও কিছু খনিজও রয়েছে সেখানে। সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বীপটিতে একটি সৌরশক্তি প্ল্যান্টে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বর্তমানে গভীর সমুদ্রে মাইনিং শুরু করেছে দেশটি। যদিও পরিবেশবাদীরা এর বিরোধিতা করছেন।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি মনে করে, এসব কাজের মাধ্যমে দেশটিকে দারিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে। বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রত্যাশাও করছে নাউরু। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুর্নীতির দীর্ঘদিনের ইতিহাসের কারণে অনেক ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী নাউরুতে বিনিয়োগ করতে চায় না।
৩. জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ঝুঁকিতে কিরিবাতি
প্রশান্ত মহাসাগরের আরেক দেশ কিরিবাতির গল্পটাও নাউরুর মতো। পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কিরিবাতি তার ফসফেট মজুতের অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছে। দেশটির কাছে থাকা ফসফেটের মজুত ১৯৭৯ সালের দিকে শেষ হয়ে যায়। এর পর থেকে দেশটির অর্থনীতি ক্রমাগত পিছলে যাচ্ছে। বর্তমানে মাত্র ২২ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ কিরিবাতি উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে রয়েছে।
খাদ্যসহ কিরিবাতির বেশির ভাগ পণ্যের সরবরাহ আসে বিদেশ থেকে। অতি আমদানিনির্ভরতার কারণে বর্তমান বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে বড় ধরনের বিপদের মধ্যে রয়েছে গভীর সমুদ্রে অবস্থিত দেশটি। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকির তো রয়েছেই।
যে অল্প পরিমাণ জমি কিরিবাতির রয়েছে, তা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্রমাগত তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় দেশটিকে তহবিল দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
৪. পালাউ নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর
পাঁচ শর বেশি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ পালাউ। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই পালাউ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল দেশ হিসেবে থেকেছে। মার্কিন ডলারকেই পালাউ তার মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া ঋণ ও আর্থিক সুবিধার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে দেশটি।
তবে টেকসই কোনো প্রবৃদ্ধির খাত তৈরি না হওয়ায় দেশটির অর্থনীতি কয়েক দশক ধরে স্থবির অবস্থায় রয়েছে। পালাউতে চাকরির সুযোগ সীমিত থাকায় দেশটির অনেক নাগরিক তাইওয়ান ও ফিলিপাইনে অভিবাসী হচ্ছেন। মাত্র সাড়ে ১৭ হাজার নাগরিকের দেশ পালাউয়ে মাছ ধরা হচ্ছে প্রধান অর্থনৈতিক কাজ। তবে অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো পালাউও অতি আমদানিনির্ভর। দেশটির অর্থনীতির আকার ২৭ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রশান্ত মহাসাগরে ক্রমে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীন। তবে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিন দেশ—পালাউ, মাইক্রোনেশিয়া ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ তাদের ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া সামরিক প্রবেশাধিকার দেয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে।
৫. ট্যাক্স স্বর্গের কালোতালিকায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
পালাউয়ের মতো মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ অতিমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ভর্তুকি আকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পায়। তবে মাছ ধরা এবং কৃষি (ফার্মিং) কাজ, বিশেষ করে শূকর ও মুরগি পালন, এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের প্রধান অর্থনৈতিক কাজ। দেশটির মৎস্য অর্থনীতিকে আরও কার্যকর করতে গত মে মাসে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার একটি অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম আমদানি আসে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় অর্থনীতির দেশ থেকে। বর্তমানে দেশটির অর্থনীতির আকার প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলো খুবই ছোট হওয়ার কারণে সেখানে কোনো ধরনের বড় শিল্প গড়ে তোলা কার্যত অসম্ভব। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতেও রয়েছে দেশটি।
৬. অভিবাসন সমস্যা নিয়ে লড়ছে মাইক্রোনেশিয়া
প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরেক দ্বীপরাষ্ট্র মাইক্রোনেশিয়ার অর্থনীতি প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাববলয়ে থাকা দেশটির অর্থনীতির বড় অংশই মার্কিন ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। শূকর পালন, নারকেল, কলা, কাসাভা ও মিষ্টি আলু দেশটির প্রধান রপ্তানি পণ্য।
এ ছাড়া বাণিজ্যিক মাছ ধরা ও উদীয়মান পর্যটন খাত থেকেও দেশটির রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস।
তবে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে লড়ছে মাইক্রোনেশিয়া। ভালো কর্মসংস্থানের আশায় মাইক্রোনেশিয়ার নাগরিকদের বড় একটি অংশ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছে। চলে যাওয়া নাগরিকদের বেশির ভাগই কম বয়সী ও পেশাগতভাবে দক্ষ। এ জন্য দেশটিতে রয়ে যাওয়া বয়স্ক ও অনভিজ্ঞ নাগরিকদের নিয়ে সমস্যায় রয়েছে দেশটি।
৭. দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপেতে
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ দেশটি বিশ্বের মধ্যে মাথাপিছু সর্বোচ্চ বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করে। নিম্ন মধ্যম আয়ের এই সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশটিতে অবকাঠামো ও দক্ষ শ্রমের অভাব রয়েছে। এ কারণে একসময়ের কৃষিনির্ভর সাও টোমে বর্তমানে মাছ ধরার অর্থনীতির ওপরই বেশি নির্ভর করছে।
সামুদ্রিক টুনাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় সাও টোমের উপকূলে। এ ছাড়া দেশটির উপকূলীয় গভীর পানিতে হাইড্রোকার্বনেরও বড় ধরনের রিজার্ভ রয়েছে।
সাও টোমের অর্থনীতির আকার প্রায় ৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৪০০ ডলার। তা সত্ত্বেও উচ্চ দারিদ্র্য, আয়বৈষম্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবের কারণে দেশটি বড় ধরনের আর্থসামাজিক দুর্বলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
৮. বেশির ভাগ খাদ্যই আমদানি করে টঙ্গা
পলিনেশিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র টঙ্গার অর্থনীতি বর্তমানে প্রায় ৫৪ কোটি মার্কিন ডলারের। দেশটির অর্থনীতির সবচেয়ে বড় দুই খাত হলো কৃষি ও পর্যটন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে দেশটির পর্যটন অর্থনীতিতে ধস নামে। আর দেশটি প্রচুর পরিমাণে কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও এর বেশির ভাগই রপ্তানি হয়।
অন্যদিকে দেশটির নিজেদের নাগরিকদের খাদ্যের জোগান দিতে হয় আমদানি করা খাদ্য থেকে। নিজস্ব শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি না হওয়ায় টঙ্গা এখনো নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
৯. কৃষি থেকে পর্যটনে ঝুঁকছে ডমিনিকা
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি ডমিনিকা। দেশটির বর্তমান অর্থনীতির আকার মাত্র ৬৬ কোটি মার্কিন ডলারের। তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান উৎস কৃষি। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিয়মিত জলোচ্ছ্বাস হারিকেনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে ডমিনিকা।
দুর্যোগের কারণে প্রায় প্রতিবছরই কৃষিনির্ভর ডমিনিকার বিপুল পরিমাণ ফসল ধ্বংস হয়। এ কারণে নিজেদের আয়ের উৎসে বৈচিত্র্য আনতে কৃষি থেকে পর্যটনের দিকে ঝুঁকছে দেশটি। এ ছাড়া ক্যারিবীয় অন্য কিছু দেশের মতো ডমিনিকাও নিজেদের অফশোর আর্থিক কেন্দ্রে পরিণত করতে সুযোগ খুঁজছে।
১০. প্রবাসী আয় অবদান রাখছে সামোয়ার অর্থনীতিতে
সাদা বালুর সৈকত ও মনোরম প্রকৃতি পলিনেশিয়া অঞ্চলের অন্যতম ছোট দেশ সামোয়াকে পর্যটকদের কাছে অবকাশযাপনের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্যে পরিণত করেছে। বর্তমানে সামোয়ার অর্থনীতি প্রায় ৮৪ কোটি মার্কিন ডলারের। এর সিংহভাগই আসে পর্যটন অর্থনীতি থেকে।
তবে মজার বিষয় হলো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামোয়ায় পরিবারগুলোর গড় আয়ের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ আসছে বিদেশে থাকা স্বজনদের থেকে। দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবে অনেক তরুণ সামোয়ান নাগরিক জন্মভূমি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন।
রেকর্ডসংখ্যায় তরুণ-তরুণী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সামোয়াতে বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে গৃহকর্মী কিংবা বাসায় সেবাযত্ন করার লোক খুঁজে পাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে।