সরবরাহে ঘাটতি
ডাব খেতে লাগছে ১৫০ টাকা
প্রচণ্ড গরমের কারণে এক সপ্তাহেই রাজধানীতে ডাবের দাম বেড়ে দ্বিগুণ। বড় আকারের একেকটি ডাব এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে দেশ। এই অবস্থায় তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন তরল খাবার। ফলে পানি, ফলের জুস ও ঠান্ডা কোমল পানীয়ের পাশাপাশি ডাবের চাহিদা এখন তুঙ্গে। প্রাকৃতিক পানীয় হিসেবে তো বটেই, রোগীর পথ্য হিসেবেও ডাবের বেশ কদর রয়েছে। সে জন্য রাজধানীতে ডাবের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বড় আকারের একটি ডাব কিনতে এখন আপনাকে গুনতে হব ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে পানি মিলবে দেড় থেকে দুই গ্লাস।
মূলত তীব্র গরমে ডাবের চাহিদা বেশি থাকে। সেটিই গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলামোটর, পান্থপথ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেল। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই ডাব খেতে চাইছেন।
আমি নিজেও কখনো এত দামে ডাব বিক্রি করিনি। কিন্তু পাইকারিতে দাম বেশি, অগ্রিম টাকা দিয়েও ডাব মিলছে না। ভরদুপুরে একটি ডাব ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। একটি বড় আকারের ডাবের দাম ১৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লাভ থাকে না।’আবদুল হালিম, ডাবের ব্যবসা
কিন্তু দাম শুনে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানেই ডাবের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে বড় আকারের একেকটি ডাব এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
ঋতু পরিবর্তনের ফলে এই সময়ে জ্বরসহ নানা রোগবালাই দেখা দেয়। এতে ডাবের কাটতি বেশি থাকে। কিন্তু বাজারে এখন চাহিদার তুলনায় ডাবের সরবরাহ কম। এতেই বেড়েছে দাম।
বাংলামোটরে বছর পাঁচেক ধরে ডাবের ব্যবসা করেন আবদুল হালিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিজেও কখনো এত দামে ডাব বিক্রি করিনি। কিন্তু পাইকারিতে দাম বেশি, অগ্রিম টাকা দিয়েও ডাব মিলছে না। ভরদুপুরে একটি ডাব ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। একটি বড় আকারের ডাবের দাম ১৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লাভ থাকে না।’
অবশ্য আকারভেদে কিছু ডাব ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।
একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় ডাবের মূল জোগান আসে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা থেকে। এর মধ্যে ভোলা ছাড়া অন্য জেলাগুলো থেকে এখন ডাব আসছে খুবই কম। এতে রাজধানীর বাজারে ডাবের সংকট দেখা দিয়েছে।