৯ ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি
নয়টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য এবং আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ধামাকা, ই অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডট কম ডট বিডি এবং আলেশা মার্ট।
তথ্য দিতে হবে যে ৯ প্রতিষ্ঠানের–ধামাকা, ই অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডট কম ডট বিডি এবং আলেশা মার্ট
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই ৯ ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে মার্চেন্টদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’
পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ জানা দরকার বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণও জানা দরকার। আরও জানা দরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অর্থ কোথাও সরিয়েছে কি না।
তথ্য জানানোর জন্য অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে ওঠে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা, আর কোম্পানিটির চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি টাকা।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্য মূল্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ করেনি ইভ্যালি। আবার মার্চেন্টদের কাছেও কোম্পানিটির বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা।
এদিকে অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য বা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় গত আগস্ট ই অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা হয়েছে। তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এ মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ই অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমানউল্লাহ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামি ই অরেঞ্জের আরেক মালিক বীথি আকতার ওরফে নাজনীন নাহার বীথি এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এখনো গ্রেপ্তার হননি। সোনিয়া মেহজাবিন বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার আপন বোন।