পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকারের কাজে প্রতিনিয়ত বাধা আছে। অভ্যন্তরীণ বাধা যেমন আছে, তেমনি বিদেশের বাধাও আছে। যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের নিজস্ব এজেন্ডা আছে। আমাদেরও এজেন্ডা আছে। আমাদের এজেন্ডা হলো দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমানের উন্নয়ন।’
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এম এ মান্নান এসব কথা জানান। আজ রোববার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এই অনুষ্ঠান হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের শিরোনাম হচ্ছে, ‘মহামারি থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ: অভিজ্ঞতা অর্জন ও নীতি প্রণয়ন’।
এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘এখন বাঙালিদের উপোস থাকার খবর হয় না। ভাতের অভাব থেকে মুক্তি পেয়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা বলছি, সুনামগঞ্জের হাওরের লোকজনও কেউ উপোস থাকে না। সেখানে মুরগির দাম ছোট মাছের চেয়ে কম।’
মূল প্রবন্ধে কোভিডের কারণে বেশ কয়েক ধরনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এগুলোর মধ্যে অন্যতম—সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাব, শ্রমবাজারে অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পতন, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ এবং শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘তথ্য–উপাত্তের ক্ষেত্রে এ দেশে নৈরাজ্য আছে। তথ্য–উপাত্তের অভাবে করোনার মধ্যে কোন খাতে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা জানি না। তথ্য–উপাত্ত থাকলে নীতি প্রণয়ন সহজ হয়।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। তিনি জানান, স্বাস্থ্যে মাথাপিছু খরচ সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম, এটি বাড়াতে হবে। কারণ, স্বাস্থ্যসেবা নিতে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক আনিসাতুল ফাতেমা প্রমুখ।