নতুন করের বোঝা চাপানো হবে না: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালছবি: সংগৃহীত

জনগণের ওপর নতুন করে করের বোঝা না চাপানোর আশ্বাস দিয়ে আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী বাজেটটিকে অধিকতর স্বচ্ছ উপায়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।

আজ বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়ে গেছে, তা বিবেচনায় রেখে আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়ানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। তবে সব জিনিসের দাম সারা বিশ্বেই বেড়ে গেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের গত মার্চ মাসের একটি প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দেন। জানান, বিশ্বে এক বছরে গম ৩৮ শতাংশ, গরুর মাংস ৩৫ শতাংশ, মুরগির মাংস ৫৫ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৭ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, চা ১৩ শতাংশ, টিএসপি সার ৬৫ শতাংশ এবং ইউরিয়া সারের দাম ২৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগামী বাজেটে জনগণের ওপর নতুন করে করের বোঝা চাপানো হবে না। এ বাজেট নিয়ে আলোচনা আরও করতে হবে। এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সঙ্গে বসতে হবে, মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। এগুলো করতে আরও সময় লাগবে। দেশের জনগণের কষ্ট যাতে না বাড়ে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’

আগামী বাজেট অন্যান্য বছরের মতো হবে না, এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার আরও স্বচ্ছ উপায়ে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাজেট কত হবে, খাতওয়ারি বরাদ্দ কত হবে—সব খবর পত্রপত্রিকায় আসতে শুরু করেছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বাজেট ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার। গত রোববার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠক সূত্র থেকে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার মোটামুটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা হতে পারে আভাস পাওয়া গেছে।

ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে আগামী অর্থবছর। চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। সে হিসাবে এনবিআরের আদায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। নতুন করের বোঝা না চাপানোর আশ্বাস দিলেও বাড়তি ৪০ হাজার কোটি টাকা এনবিআর কোথা থেকে এবং কীভাবে সংগ্রহ করবে, সে ব্যাপারে কোনো ধারণা দেননি অর্থমন্ত্রী।