প্রায় দেড় বছর পর পর্যটনের জন্য ধীরে ধীরে খুলছে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত। করোনার কারণে থেমে যাওয়া বহুজাতিক বিমান সংস্থাগুলো এখন অনেক রুট তথা গন্তব্যে তাদের বিমান চলাচল শুরু করেছে। ফলে মানুষের পেশাগত কাজ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন দেশে যাতায়াত শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের খোলাবাজারে ডলারের দামে। গত বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা ৬০ থেকে ৮০ পয়সা।
এর কারণ হিসেবে ডলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাইরে যাওয়ার জন্য হঠাৎ ডলারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। সে তুলনায় হাতে হাতে দেশে ডলার আসছে না। ফলে দাম বেড়ে গেছে। হাতে হাতে ডলার দেশে না এলে এই ঊর্ধ্বগতি শিগগির থামবে না।
তবে গ্রাহকেরা চাইলে পাসপোর্ট এনডোর্স করে ব্যাংক থেকেও ডলার কিনতে পারেন। ব্যাংকগুলো অবশ্য এখন ৮৮ টাকার কমে ডলার বিক্রি করছে। তবে ঋণপত্রের দেনা পরিশোধে ব্যবসায়ীদের প্রতি ডলারের জন্য দিতে হচ্ছে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা। ফলে খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের পার্থক্য ৪ টাকা হয়ে গেছে, স্বাভাবিক সময়ে যা ২-৩ টাকার মধ্যে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ডলার কিনতে গিয়েছিলেন শাহনাজ বীথি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি ডলার ৮৯ টাকা ৮০ পয়সায় কিনতে হলো। ছেলেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য ডলার কিনতে হয়েছে।
মতিঝিল ও গুলশানের এক্সচেঞ্জ হাউস ও খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডলার বিক্রি করতে সেভাবে মানুষ আসছেন না। শুধু কেনার জন্য আসছেন। এই কারণে দাম বাড়ছেই।
এদিকে পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর আমদানি খরচের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে করোনার টিকা। ফলে তিন মাস ধরে বাড়ছে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম। অর্থাৎ দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে বাংলাদেশি টাকা।
ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এরপরও দাম ধরে রাখা যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোতে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুলাই প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা।