গ্রামপর্যায়ে ছয় লাখ মানুষ নিরাপদ পানি পাবেন। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে। এটা অনেকটা ওয়াসার পানি সরবরাহের মতো ব্যবস্থা। গ্রামীণ মানুষের জন্য এই নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সমান। নিরাপদ পানির পাশাপাশি আধুনিক পয়োনিষ্কাশন সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল শনিবার বিশ্বব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে। নিরাপদ পানি সরবরাহের পাশাপাশি ৩৬ লাখ মানুষের জন্য আধুনিক স্যানিটেশন বা পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হবে।
এ ছাড়া বাজার, বাসস্টেশন ও কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো জনসমাগম হয় এমন স্থানে ২ হাজার ৫১৪টি ‘হ্যান্ডওয়াশিং স্টেশন’ বা জীবাণুমুক্ত করতে হাত ধোয়ার অবকাঠামো তৈরি করা হবে। সেখানে পানির কল থাকবে, থাকবে হাত ধোয়ার সাবান।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এ ধরনের প্রকল্প কোভিড-১৯-এর মতো রোগবালাই ছড়িয়ে পড়া থেকে গ্রামের মানুষকে সুরক্ষা দেবে। সংস্থাটি আরও বলছে, ২০১৭ সালের হিসাবে বাংলাদেশের মাত্র ৩ শতাংশ পরিবারে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানির সুবিধা আছে। নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারগুলোর জন্য পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সবার জন্য পানির সুবিধা, উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। এখনো নিরাপদ পানি সরবরাহ ও সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে আছে।