আশুলিয়ায় বেক্সিমকোর পিপিই কারখানা চালু
করোনার কারণে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা দুনিয়াজুড়ে বেড়েছে। মহামারি ভাইরাসটি প্রতিরোধে টিকা এলেও আগামী কয়েক বছর পিপিইর প্রয়োজন হবে। সম্ভাবনাময় এই বাজার ধরতে সাভারের আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো।
কবিরপুরে প্রায় ২৫ একর জায়গায় ওপর কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ল্যামিনেটেড ফেব্রিকস বা কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদিত হবে। সেই কাপড় থেকে জীবাণুমুক্ত ডিসপোজিবল আইসোলেশন ও ক্ল্যাসিক্যাল গাউন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য আইসোলেশন গাউন, এন ৯৫ ক্যাপ টাইপ ও ফোল্ডেবল টাইপ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, ডিসপোজিবল স্ক্রাবস, ওভেন ওকিটেন শু কাভার ও হেড কাভার তৈরি করা হবে।
গতকাল বুধবার বেক্সিমকোর পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে অংশ নেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেক্সিমকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাভেদ হুসাইন।
বেক্সিমকোর কর্মকর্তারা জানান, বেক্সিমকোর পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে উৎপাদিত মাস্ক, গাউনসহ উৎপাদিত পণ্য ‘বেক্সিমকো হেলথ’ নামে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হবে। বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পিপিই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন,‘ করোনার শুরু থেকেই বেক্সিমকো সুরক্ষাসামগ্রী তৈরি করছে। আমরা দেখেছি কত দ্রুততার সঙ্গে বেক্সিমকো ৬২ লাখ পিপিই গাউন উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করেছে।