যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হচ্ছে অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের স্বাস্থ্যসহায়ক খাদ্যপণ্য
অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের (ওএনএল) ফর্মুলাভিত্তিক খাদ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পর দেশটির সুপারমার্কেট ও আমাজন ইউএসে পাওয়া যাচ্ছে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ খবর জানায়।
অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের পরিচালক এই অর্জনকে জাতীয় গর্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রথাগতভাবে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলো থেকে প্রিমিয়াম স্বাস্থ্যসহায়ক খাদ্যপণ্য আমদানি করে। আজ আমরা এ প্রবণতা পাল্টে দিয়ে বিশ্বের বাজারে আমাদের দেশীয় বিশ্বমানের ফাংশনাল ফুড রপ্তানি করছি। এটি শুধু ব্যবসায়িক সফলতা নয়, জাতীয় গৌরব। আমরা বিশ্বাস করি, এ শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয়ের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।’
২০২৪ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান টিয়াল গাইয়া বাংলাদেশে অর্গানিক নিউট্রিশনের গবেষণা ও উৎপাদনপ্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হয়ে চারটি ফর্মুলেটেড ফাংশনাল ফুডের—জয়েন্ট গার্ড, ইমিউন প্লাস, সাইকেল কমফোর্ট ও টারমারিক বুস্টার—কার্যাদেশ দেয়। এসব পণ্য নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায় এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন লাভ করে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের প্রতিনিধিরা কোম্পানির অঙ্গীকার তুলে ধরেন। বিজ্ঞানভিত্তিক ফর্মুলেটেড ফাংশনাল ফুডের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠান। এই পণ্যগুলো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নয়, এগুলো প্রতিদিন সেবনের জন্য উপযোগী, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন হাড়ের সচলতা, ইমিউনিটি, হৃদ্রোগের স্বাস্থ্য, পাচনতন্ত্রের সুস্থতা ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
২০১৬ সালে গবেষণার মাধ্যমে ওএনএলের যাত্রা শুরু হয়। অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও খাদ্যপ্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে পরিচালিত গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেমের মতো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্গানিক নিউট্রিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক ইফতেখার রশিদ, নির্বাহী পরিচালক অরুণ কুমার মণ্ডল ও কর্নেল ইঞ্জিনিয়ার এ আর মোহাম্মদ পারভেজ মজুমদার (অব.) ও হেড অব ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান।