এনআরবি ব্যাংক চেয়ারম্যান পদে আবারও ইকবাল আহমেদ
প্রবাসী ব্যবসায়ী ও এনআরবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ আবার ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সীমার্ক গ্রুপ অব কোম্পানিজ এবং আইবিসিও ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। গতকাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এর আগে ১২ মার্চ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই পর্ষদে তাঁকে পরিচালক করা হয়েছিল।
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ইকবাল আহমেদ। এরপর ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আতর ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমানের কাছে। এরপর তিনি পরিবারের সদস্য ও পরিচিতদের ব্যাংকে যুক্ত করে ব্যাংকটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। একসময় পরিচালক থেকে ইকবাল আহমেদকে বাদ দেওয়া হয়। মাহতাবুর রহমান ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যাংকটির কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এরপর সরকার পরিবর্তন হলে মাহতাবুর রহমানসহ কয়েকজন পরিচালককে প্রকাশ্য দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেটের বাসিন্দা ইকবাল আহমেদ একজন প্রথিতযশা অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী। বিশ্বজুড়ে তিনি সততা, সুনাম ও সফলতার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশের নাম বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন। একটি ছোট পারিবারিক ব্যবসা থেকে সীমার্ক গ্রুপ বিশ্বব্যাপী হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে। ১৯৭৬ সালে ইকবাল ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি (বর্তমানে আইবিসিও লিমিটেড) তৈরি করেন, যা হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং সব ধরনের হিমায়িত খাদ্যপণ্য আমদানি ও বিতরণ করে এবং যুক্তরাজ্য ও ইইউতে ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি আমদানিকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন।
২০০১ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইকবাল আহমেদের অবদানের জন্য ব্রিটেনের রানির সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বীকৃতি ওবিই (অফিসার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) অর্জন করেন। এ ছাড়া ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একাধিক বছর তিনি বাংলাদেশে সেরা রপ্তানিকারকদের একজন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পদক অর্জন করেছেন।