চার ঘণ্টায় ২ লাখ ১০ হাজার লাইক, ২৭ হাজার কমেন্ট, ৫ হাজার ১০০ শেয়ার হয়েছে। সাকিব আল হাসান বলে কথা। আর সে পোস্ট যদি হয় রহস্যময়, তাহলে তো কথাই নেই। সাকিব মানেই নতুন কিছু। নতুন আলোচনা। পুরোনো সমালোচনা। কিন্তু সাকিব দমে যাওয়ার পাত্র নন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দলকে যেমন জিতিয়েছেন, তেমনি নানাভাবে আলোচনায় থেকেছেন দর্শকদের মধ্যে।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করেছেন, যেখানে খুব মজা করে তাঁকে বার্গার খেতে দেখা যাচ্ছে। আর ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইদানীং যা-ই খাচ্ছি, সবই মজা লাগছে! কেন বলুন তো?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে।
তবে কি সদ্য বাবা হওয়ার পরে সাকিবের খাওয়াদাওয়ার রুচি বেড়ে গেছে? বিষয়টি নিয়ে সাকিব–ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল বেড়ে গেছে। সাকিব কেন এই ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন? সেটা নিয়ে যদিও তিনি কোনো কিছু খোলাসা করেননি। এ সম্পর্কে জানতে সাকিবের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফিরতি এসএমএসে বলেছেন, সময় হলে সব জানাবেন এবং ফেসবুকে চোখ রাখতে বলেছেন। কিন্তু ভক্তদের যেন তর সইছে না। তাঁরা নিজেরা সাকিবের পেজে গিয়ে অনুমাননির্ভর নানা মন্তব্য করছেন। যাঁরা যাঁরা কমেন্ট করেছেন, তাঁদের প্রত্যুত্তরে কিছুই জানাচ্ছেন না সাকিব!
মন্তব্যকারীরা বিভিন্ন মন্তব্য করে জানতে চেয়েছেন পোস্টটি সম্পর্কে। আহমেদ জামান শিমুল নামের একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘নতুন বিজ্ঞাপন কামিং!’ ‘কারণ, আপনি সাকিব তাই। যা–ই খাবেন, তা–ই মজা, যা খাওয়াবেন তা–ও মজা।’ রিফাত এমিল নামের একজন এভাবে ছবিতে কমেন্ট করেছেন। রবিউল ইসলাম জীবন নামে সাকিব আল হাসানের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আপনি বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ। আর তাই যেটাই খান, সেটাতেই মজা পান। এভাবেই চালিয়ে যান।’
‘খাচ্ছ আর আরাম পাচ্ছ তাই!’ শেখ মোহাম্মাদ শামীম লিখেছেন এমনটাই। অরূপ কুমার পাল পোস্টের উত্তরে লিখেছেন, ‘বাঘের অরিজিনাল বাচ্চা তাই।’ গাজী মিজানুর রহমান নামে সাকিব আল হাসানের এক অনুসারী লিখেছেন, ‘ছুটিতে পরিবারের সাথে আছেন + জুনিয়র সাকিব আল হাসানের আবির্ভাব; সব মিলিয়ে এই আর কী! তবে, শিগগিরই লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে দেখতে চাই ইনশা আল্লাহ।’ জুয়েল রানা ক্যাপশন হবে এটা বলে লিখেছেন, ‘ইদানীং যা বলছি, তা–ই ভাইরাল হচ্ছে।’ ‘রুচি ডাল ভাজা খেয়ে খেয়ে রুচি বাড়ছে নিশ্চয়!’ এমনটাই খাওয়ার কারণ বলেন মুনতাসির মুন। শারমিন নাহার লিখেছেন, ‘পোলার বাপ হওয়াতে পাকস্থলীর হজমশক্তি বেড়ে গেছে মনে হয়।’