ব্যাংকঋণের সুদহার কমানোর দাবি এফবিসিসিআইয়ের

ব্যাংকে খেলাপি ঋণ নির্ধারণের সময় ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ৯ মাস করার অনুরোধ জানিয়েছে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। পাশাপাশি সুদহার না বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা ও অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নীতিসহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

এফবিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে এসব অনুরোধ জানায়। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের কোনো ঋণের কিস্তি ছয় মাস অনাদায়ি থাকলে, সেটিকে খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময়সীমা ৬ মাসের বদলে ৯ মাস করার দাবি জানানো হয়।

বৈঠক এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সুদৃঢ় ও বেগবান করতে সুদের হার স্থিতিশীল, ডলার জোগান স্বাভাবিক রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা চালু রাখতে নীতিসহায়তারও দাবি জানানো হয়। এ সময় বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে এফবিসিসিআই।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

সভা শেষে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখা ও বিনিয়োগের স্বার্থে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে গভর্নরকে অনুরোধ করা হয়।

হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি ও উৎপাদন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) জোগান স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ করেছি আমরা। গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়গুলো বিবেচনা করার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সাবেক সহসভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক আবদুল হক, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।