চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তার নিয়মে পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়ার নিয়মে কিছু সংশোধনী এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলা হয়েছে, যে দেশে পণ্য রপ্তানি করা হবে, সে দেশ থেকে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবসিত হতে হবে। ২০১১ সালের ৪ মে তারিখে জারি করা এ–সংক্রান্ত পরিপত্রের সাপেক্ষে এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবসিত হলেও নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রথমত, রপ্তানি আদেশ প্রদানকারী থেকে বা রপ্তানি আদেশ প্রদানকারীর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে—এমন উৎস থেকে (এক্সচেঞ্জ হাউস ব্যতীত) রপ্তানিমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নগদ সহায়তার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের আগে পণ্য রপ্তানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে স্বীকৃত ট্র্যাকিং পদ্ধতি/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে এবং এসব তথ্য (প্রিন্টেড কপি) আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
এ পরিপত্র জারির তারিখ থেকে জাহাজীকৃত পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা কার্যকর হবে। আগের কোনো অনিষ্পন্ন বিষয়ে কিংবা অডিট আপত্তি আছে—এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এ পরিপত্র প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে একটি বড় রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি করতে চান বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের চামড়াশিল্পের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা খুবই অভিজ্ঞ। এ খাতের সুবিধা হলো এর কাঁচামাল দেশীয়। খাতটিকে সহায়তা করলে রপ্তানি বাড়বে।