বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ডলারের দামের ওঠানামা চায় আইএমএফ

দেশে ডলারের বিনিময়মূল্য বেশ কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল। সাধারণত মুদ্রার বিনিময় হার যেভাবে ওঠানামা করার কথা, সেভাবে করছে না। এই বাস্তবতায় মানুষের মধ্যে ডলার ধরে রাখার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে বাজারে ডলারের সরবরাহে। সে জন্য ক্রলিং পেগের কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শেষমেশ ঠিক কী পরামর্শ দেবে, সে বিষয়ে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মধ্যবর্তী পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ডলারের বিনিময় হার নিয়েও আলোচনা হয়।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।

এ ছাড়া সভায় মুদ্রানীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ নিয়ে কথা হয়েছে। আইএমএফ এসব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে। সমাপনী পর্যালোচনার সময় জানা যাবে, এসব বিষয়ে তাদের প্রকৃত অবস্থান কী।

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাবে। চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে তৃতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছে। দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে দুই সপ্তাহ ধরে বৈঠক করবে।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এখন পর্যন্ত তিন কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর গত জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার পাওয়া যাবে চার কিস্তিতে, যার এক কিস্তি পাওয়া যেতে পারে চলতি ডিসেম্বরে।