বিদ্যুৎ উৎপাদকেরা ইচ্ছেমতো পাবেন ব্যাংকঋণ
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ব্যাংকঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে বিদ্যুৎ উৎপাদকেরা এখন ব্যাংক থেকে তাঁদের ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারবেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ২৬খ (১) অনুযায়ী আগে একটি কোম্পানিকে ব্যাংকের সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ প্রদানের সুযোগ ছিল না। সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ ব্যাংকঋণের সীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এ জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য ব্যাংকঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার হিসাবটি কার্যকর হবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৪ নম্বর আইনের ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিদ্যুৎ উৎপাদকদের এই সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংকঋণ দিতে গেলে অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করবে। তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদকেরা যত ইচ্ছা ঋণ পাবেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদকদের ঋণ অনুমোদনের কোনো নথি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এলে তা ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। তাঁরা যেন পর্যাপ্ত ঋণ নিয়ে বিদ্যুৎ খাত সচল রাখতে পারেন, সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির সভাপতি ইমরান করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদকদের জন্য ঋণের কোনো সীমা ছিল না। এরপর দেশের বিদ্যুৎ খাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় নতুন বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে সরকার ঋণের সীমা বেঁধে দেয়। সরকারের কাছেও ব্যবসায়ীদের বড় অঙ্কের টাকা পাওনা রয়েছে। তাতে এ খাতের উৎপাদকেরা আবার তারল্য–সংকটে ভুগছে। এ জন্য আমরা সরকারের কাছে ঋণসীমা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম।’