প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত আরও ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রশ্নপত্র ফাঁসপ্রতীকী ছবি

প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত আরও ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হিসাব থেকে জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউ আজ রোববার ব্যাংকগুলোতে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এর আগে ৯ জুলাই সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

হিসাব জব্দ হওয়ার তালিকায় থাকা এসব ব্যক্তিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার ‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। এর পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে সিআইডি। ওই মামলায় আবেদ আলীসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

হিসাব জব্দের তালিকায় রয়েছে পিএসসির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, ডেসপাচ রাইডার খলিলুর রহমান, অডিটর প্রিয়নাথ রায় ও অফিস সহকারী মো. সাজেদুল ইসলাম। তালিকায় আরও আছেন সাবেক সেনাসদস্য মো. নোমান সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ঢাকার পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী মামুনুর রশীদ, নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী মো. শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুল হাসান ও ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম।

এর আগে ৯ জুলাই বিএফআইইউ সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, তাঁর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সোহান, স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী এবং আবেদ আলীর মালিকানাধীন ঊষা রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের হিসাব ৩০ দিনের জন্য জব্দের নির্দেশ দেয়।