আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলেসহ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী সব পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে ‘অন্যায়ভাবে’ যাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাঁদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়েছে।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার দুই শতাধিক লোক ‘আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ’-এই ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান।

আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা। শাহ এ সরোয়ার ‘মানসিক চাপ সৃষ্টি করে’ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন।

বিক্ষোভে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করা। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে চাকরির বয়স অতিক্রম করেছেন, তাদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধিসহ পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ঋণ পুনঃ তফসিল না করা, ঋণের সুদ মওকুফ না করা, দ্রুত খেলাপি ঋণ আদায়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার ভয়ের সংস্কৃতি দূর করা, সাবেক এমডি শাহ আলম সরোয়ার ও তাঁর সহযোগীদের বিচার করা, পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।