এ সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা তোলা যাবে
চলতি সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল শনিবার এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশে ক্ষমতা পটপরিবর্তনের পরিস্থিতিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ রকম নির্দেশনা জারি করেছে।
গত সপ্তাহে চার লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যেত। তার আগের সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ ছিল। একইভাবে তার আগের দুই সপ্তাহে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই লাখ এক লাখ টাকা করে উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ চার সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হচ্ছে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হলেও এখনো নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা শঙ্কা আছে। এ ছাড়া অনেকেই ব্যাংক থেকে বেশি নগদ টাকা তুলে ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারেন, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে। সে জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়। যদিও প্রতি সপ্তাহেই সীমা বাড়ানো হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ব্যাংকের শাখায় টাকা স্থানান্তরে সমস্যা হচ্ছে। সে জন্য এক হিসাব থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। চেকের মাধ্যমে লেনদেন তদারকি জোরদার এবং সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ করতে হবে।
এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) জরুরি বার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে শাখায় টাকা স্থানান্তরে সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে হচ্ছে।
তবে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকলেও গ্রাহকেরা যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ধীরে ধীরে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি সপ্তাহে বেতন দেওয়ার জন্য কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পাঁচ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হতে পারে। তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাহিদামতো টাকা তুলতে পারবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে টাকা তোলার সীমা প্রত্যাহার করা হবে।