চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার ক্ষেত্রে আরও চারটি খাত যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চারটি খাত হলো দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল, বাইসাইকেলের যন্ত্র, এমএস স্টিল পণ্য ও দেশে উৎপাদিত সিমেন্ট শিট। প্রতিটি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ রপ্তানিসুবিধা দেওয়া হবে। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষায়িত অঞ্চলের (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ টাইপ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সব ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা সহায়তা পাবে।
পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিপর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এই আয় যে দেশে এসেছে, তার সত্যতা নিরূপণে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ছাড়পত্র লাগবে।
এ ছাড়া ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাস ওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, হালকা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রপ্তানি ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হবে। পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসর) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেকট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রপ্তানি ভর্তুকি পাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য সব খাতে নগদ সহায়তা/রপ্তানি ভর্তুকি/প্রণোদনা সহায়তাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির বিপরীতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্য সংযোজন থাকতে হবে।
সব ক্ষেত্রে রপ্তানি মূল্য দেশে আসার ১৮০ দিনের মধ্যে নগদ সহায়তার জন্য আবেদন করতে হবে।