আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে ব্যাংকের বিশেষ বুথ বসবে। এসব বুথে জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন বসানোসহ অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ফি ছাড়াই হাট চলাকালে সারাক্ষণ এসব বুথের সেবা চালু রাখতে হবে। বুথের কার্যক্রম শুরু করতে ব্যাংকগুলো কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।
এর আগেও ব্যাংকগুলো কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে সীমিত আকারে বিশেষ বুথ স্থাপন করত। এবারে সারা দেশে সব সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় বুথ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের কোনো সংস্থার অনুমোদন নেই এমন কোনো হাটে অবশ্য ব্যাংকের বুথ থাকবে না।
যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে এ কাজের সমন্বয় করবে তাদের সংশ্লিষ্ট শাখা। যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সোনালী ব্যাংক সমন্বয় করবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ব্যাংকগুলোকে সোনালী ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনেক হাটে দিনরাত পশু বেচাকেনা হয়। ওই সব হাট যতক্ষণ চলে ততক্ষণ জাল নোট শনাক্তের সেবা দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে পুলিশ বা র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করার কথাও বলা হয়েছে। জাল নোট পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জাল নোট শনাক্তকরণ বুথে নোট যাচাই–সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ব্যাংক কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ব্যাংকগুলো দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবে।