বিদেশি মুদ্রার সংকট এড়াতে সরকার যে বিলাসদ্রব্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার নীতি গ্রহণ করেছে, আইসিসি বাংলাদেশ তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। হার্ড লোন (বিদেশি ঋণ যা বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধযোগ্য) এড়ানোর ক্ষেত্রেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তারা। তারা বলেছে, এতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমতে পারে।
এসব সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব কৃচ্ছ্রসাধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, আইসিসি বাংলাদেশ তার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে আছে অপ্রয়োজনীয় আমদানি হ্রাস, উচ্চ আমদানির প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত ইত্যাদি। আইসিসি বাংলাদেশের বিশ্বাস, এসব সিদ্ধান্ত বাজার ও অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত দেবে এবং মুদ্রাস্ফীতি রোধে সহায়ক হবে। আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান নির্বাহী পর্ষদের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বার্ষিক প্রতিবেদন উত্থাপনকালে এসব কথা বলেন। গতকাল ঢাকায় আইসিসিবির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিসিবির সভাপতি বলেন, আসন্ন বাজেটে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম, জ্বালানির দাম না বাড়ানোর পাশাপাশি করপোরেট করহার কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের দাবি সমর্থন করে আইসিসিবি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দুই বছরে মহামারি বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। অনেক খাত দুর্দশায় পড়েছে এবং এখনো সংগ্রাম করছে। এসব খাতের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও আর্থিক সমস্যার এখনো শেষ হয়নি এবং এখনো অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি রয়ে গেছে। অনেক দেশ ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরেকটি অনিশ্চয়তার পথে যেতে পারে। এই যুদ্ধ একটি বড় ধরনের মানবিক সংকট, যা লাখ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে আইসিসিবি নির্বাহী পর্ষদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যানুযায়ী, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাপক দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক একে ‘দারিদ্র্য নিরসনের মডেল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
কাউন্সিল ২০২১ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে এবং ২০২২ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।