শ্রমিকদের ধৈর্য ধরতে হবে
মালিকপক্ষ নতুন করে মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরও পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলন পুরোপুরি থামেনি। আসলে শিল্পের বাইরের লোকজন শ্রমিকদের উসকানি নিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে, কারণ, এর পেছনে তাদের স্বার্থ আছে।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাই শ্রমিকদের ধৈর্য ধরতে হবে। মজুরি বোর্ড যে মজুরি নির্ধারণ করবে, তা পোশাকশিল্পের মালিকেরা মেনে নেবেন। ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরিকাঠামো কার্যকর হবে। সেই কাঠামো অনুযায়ী শ্রমিকেরা জানুয়ারি থেকে মজুরি পাবেন।
অবশ্যই বাস্তবসম্মত মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। তার কারণ, অযৌক্তিক মজুরি নির্ধারণ করলে পোশাকের দাম বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ অন্য দেশে স্থানান্তর করবে। ইতিমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ক্রয়াদেশ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম। অন্যদিকে শুধু এক বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সেই চাপ কিছুটা কমানো গেলেও আর্থিক সক্ষমতা কমেছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে আছেন দেশের সব মানুষ। আমরাও চাই পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ুক। তবে সেই মজুরি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে শিল্পও বেঁচে থাকে। শিল্প বাঁচলেই শ্রমিকেরা বাঁচবেন।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা দরকার। সেটি হলে শ্রমিকদের ওপর থেকে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মজুরি বৃদ্ধির পর বাসাভাড়া বাড়িয়ে দেন বাড়িওয়ালারা। এটি নিয়ন্ত্রণ করতেও সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন।
শহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি, বিজিএমইএ