কত টাকার বাজেট ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমার ধারণা, এটা নিয়ে আমার মতো অনেক উদ্যোক্তাই আগ্রহী নন। আমি স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসা করি।
এই খাতে যে বরাদ্দ থাকে, তা পুরোপুরি ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটাই আমার আগ্রহের বিষয়। নানা মাধ্যমে জানা যায়, বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু খরচ না হওয়ায় অর্থ ফেরত যায়। কেন অর্থ খরচ হচ্ছে না, এটা বড় প্রশ্ন। বাজেট বরাদ্দ দিয়ে কোনো উপকার হবে না, যদি তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হয়। এ জন্য খাতভিত্তিক যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের ব্যবসার কাঁচামালের মূল্য দিন দিন কমার কথা থাকলেও তা কিন্তু উল্টো বাড়ছে। যখন পণ্য তৈরি করছি, তখন দাম বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এই বৈরী ব্যবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা চাপে পড়েছেন। স্বাস্থ্য খাতের কাঁচামালের দাম অনেক বেড়েছে। সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতার কারণেও খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারের এক কোটি টাকার নির্মাণকাজে খরচ ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। আবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার প্রথম দুই বছর কোনো কাজ করা যায়নি। যা–ই হোক, নির্মাণকাজের খরচ বেড়েছে ৪০-৪৫ শতাংশ। কিন্তু প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা এই খরচ কোথা থেকে মেটাবেন। যাঁর যা সঞ্চয় ছিল, সবই শেষ হয়ে গেছে।
বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা অর্থ খরচ হচ্ছে না। আমি গত পাঁচ-ছয় বছর সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) থেকে কোনো বিল পাচ্ছি না। অথচ চাহিদা অনুযায়ী ঠিকই মালামাল সরবরাহ করেছি।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে দুটি প্রকল্পে মালামাল সরবরাহ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পাইনি। মালামাল সরবরাহ করলাম অথচ টাকা পাচ্ছি না। তাহলে চলবে কীভাবে? যারা দীর্ঘদিন এই ব্যবসা করছি, তাদের বেশির ভাগই একই সমস্যায় ভুগছি। সরকার যদি বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ যথাযথভাবে খরচ করতে পারে, সেটাই হবে বড় সার্থকতা।