প্রথম আলো: চা রপ্তানি খুব বেশি বাড়ছে না। এ ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
শাহ মঈনুদ্দিন হাসান: রপ্তানি বাড়াতে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, শুধু বাগান থেকে রপ্তানি হলে এ প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে। নিলাম থেকে চা কিনে রপ্তানি করলে কোনো প্রণোদনা নেই। অথচ গত মৌসুমেও নিলাম থেকে কিনে সিংহভাগ চা রপ্তানি হয়েছে। আমরা প্রণোদনাসংক্রান্ত এই এসআরও সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ডের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। নগদ সহায়তা যদি নিলাম থেকে কেনা চা রপ্তানিতেও দেওয়া হয়, তাহলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রথম আলো: বাজারে বিদেশি ব্র্যান্ডের হরেক রকমের চা পাওয়া যায়। অবৈধপথেও এসব চা দেশের বাজারে ঢুকছে বলে অভিযোগ আছে। এটি এই শিল্পে কেমন প্রভাব ফেলছে?
শাহ মঈনুদ্দিন হাসান: চা আমদানিতে ৯২ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে ব্যাগেজের আওতায় ও চোরাই পথে কিন্তু দেশে চা ঢুকছে। এটা বৈধভাবে বাজারজাতকারী ও উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য হুমকি। এ শিল্পের সুরক্ষার জন্য অবৈধ চা বেচাকেনা বন্ধ করা উচিত। আবার সীমান্তহাটে বিক্রয়যোগ্য পণ্য তালিকায় চা না থাকার পরও পার্শ্ববর্তী দেশের চা বিক্রি হচ্ছে। এই অবৈধ চা শুধু বাজারে স্থিতিশীলতাই নষ্ট করছে না, চা–শিল্পে গভীর সংকট তৈরি করছে।
প্রথম আলো: আপনি চা ব্যবসায়ীদের সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি চায়ের বাজারে শীর্ষস্থানীয় ইস্পাহানি টি লিমিটেডেও মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী দিনে চায়ের বাজার নিয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই।
শাহ মঈনুদ্দিন হাসান: চায়ের ভোক্তারা এখন অনেক সচেতন। তাঁরা ভালো মানের ও ব্র্যান্ডের চা পছন্দ করেন। এ জন্য বাজার ধরতে কোম্পানিগুলোও ভালো মানের চা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে।
ইস্পাহানি ২০০ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটির বৈচিত্র্যময় ব্যবসা থাকলেও মূলত চায়ের জন্য বিখ্যাত। ভোক্তাদের নানা স্বাদের চা তুলে দিতে ইস্পাহানি নানা রকমের চা বাজারজাত করছে। আবার বৈশ্বিক বাজারের জন্যও ইস্পাহানি নানা ব্র্যান্ডের চা রপ্তানি করছে। ইস্পাহানির নীতি হলো, ভোক্তাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট চা তুলে দেওয়া।