অর্গানিক চায়ের উপকারিতা বেশি, বাজারও বড় হচ্ছে

চায়ের বর্তমান বাজার ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন কাজী অ্যান্ড কাজী টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম এম ইব্রাহিম মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুদ মিলাদ

প্রশ্ন:

প্রথম আলো:  চায়ের বাজারের অবস্থা এখন কেমন?

এস এম এম ইব্রাহিম মাহমুদ:  অর্গানিক বা ভেষজ চা হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে কোনোরকম ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কৃত্রিম উপাদান ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়া।

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে খাবারে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হয়। চায়ের ক্ষেত্রে তখন ভিন্ন স্বাদের ও স্বাস্থ্যসম্মত চা পানে ঝোঁক বাড়ে। এ কারণেই দেশে অর্গানিক চায়ের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের হিসাবে, গত কয়েক বছরে অর্গানিক চায়ের চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। 

চাহিদা বাড়তে থাকায় আমরা অর্গানিক চা উৎপাদন বাড়াতে জোর দিচ্ছি। যেমন ২০২২ সালে কাজী অ্যান্ড কাজীর বাগানে ৫ লাখ ৯৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়। ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার কেজি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: অর্গানিক চা উৎপাদনের বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করেন?

ইব্রাহিম মাহমুদ: ২০০০ সালে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেটে চায়ের আবাদ শুরু হয়। উৎপাদন শুরু হয় ২০০৪ সালে। বাগানে অর্গানিক চা উৎপাদনের জন্য অর্গানিক প্রক্রিয়ায় জমি প্রস্তুত করা, পশুপাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, অর্গানিক প্রক্রিয়ায় কীটনাশক তৈরি এবং এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হয়েছে। সমবায় ডেইরি থেকে গোবর সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরি করছি। ব্যবহার করছি ভেষজ ও ঔষধি পাতার মিশ্রণে তৈরি বায়োপেস্টিসাইড। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানের বিভিন্ন সংস্থা থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ ধরনের ২৪টি বৈচিত্র্যময় চা বাজারজাত করেছি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনারা বিদেশে ‘টিটুলিয়া’ ব্র্যান্ডের নামে অর্গানিক চা রপ্তানি করছেন। বিদেশে এই চায়ের কদর কেমন?

ইব্রাহিম মাহমুদ: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজী অ্যান্ড কাজী টির অর্গানিক চা রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে বিখ্যাত স্টোর ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শোভা পাচ্ছে টিটুলিয়া ব্র্যান্ড।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: ভবিষ্যতে অর্গানিক চায়ের বাজারের অবস্থা কেমন হতে পারে বলে আপনার ধারণা?

ইব্রাহিম মাহমুদ: মানুষ এখন স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সঙ্গে কোনো আপস করে না।

অর্গানিক চায়ের যেহেতু উপকারিতা বেশি সে জন্য বাজারও বড় হচ্ছে।