ডলার–সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা চান ব্যবসায়ীরা 

ডলার
ছবি: রয়টার্স

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কসংক্রান্ত ১৮৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা। গতকাল বুধবার নগরের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনকক্ষে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সামনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাতীয় বাজেট সাজানো উচিত। বিশেষ করে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, তা কমানো এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াই প্রধান লক্ষ্য হতে হবে।  

চট্টগ্রাম চেম্বারের বাজেট প্রস্তাবে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া শুল্ক খাতে পণ্যের বিবরণ সঠিক থাকলেও এইচএস কোডের সামান্য ভুলের কারণে ২০০ শতাংশ জরিমানা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়। এক ও অভিন্ন মূল্যে সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে পণ্যের শুল্কায়নের প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার। এ ছাড়া নতুন পণ্য তৈরির গবেষণায় বিনিয়োগ করমুক্ত করার, অবকাঠামো খাতে উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখা এবং বর্তমান ডলার-সংকট সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। 

চেম্বার সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি নীতি নেওয়া উচিত।  

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, যেসব প্রস্তাবনা এসেছে তার সব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে আগামীতে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে কর, শুল্ক ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর কাজ চলছে। 

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশ থেকে বিদেশে অনেক পোশাক রপ্তানি হলেও আমাদের নিজস্ব জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নেই। পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে গবেষণা ও ব্র্যান্ডিং করা উচিত।’