বিশ্ববাজারে কফির দাম বাড়তে পারে
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে কফির দাম বেশ বাড়তে পারে। বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলে খরা ও তুষারপাতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়াতেই পণ্যটির দাম বাড়বে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছর বিশ্ববাজারে কফির দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছিল। সেই দাম চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন প্রতি পাউন্ড কফির দাম দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫৯ ডলার।
চলতি মৌসুমেও ব্রাজিলে ফলন কমেছে কফির। একই অবস্থা হয়েছে আরেক বৃহৎ কফি উৎপাদনকারী কলম্বিয়ায়। ব্রাজিলের এই প্রতিবেশী দেশেও কফি উৎপাদন কমেছে। এর সঙ্গে সার ও পরিবহন খরচ বাড়ায় তা কফির দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে। ব্রাজিল–কলম্বিয়ার কিছু খামারে এবার ফলন অন্তত ৫০ শতাংশ কম হবে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ব্রাজিলের মিনাসুল কফি সমবায় সমিতির সভাপতি মার্কোস ম্যাগালহেস বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সংকট। আমাদের সমিতির ৯ হাজারের বেশি সদস্য আছেন। তাঁদের উৎপাদিত কফির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে গেছে।’
বাজার বিশ্লেষকেরা শুরুতে বলেছিলেন, চলতি বছরে প্রায় ৪৮৭ লাখ ব্যাগ আরবিকা কফির উৎপাদন হতে পারে। প্রতিটি ব্যাগে ১৩২ পাউন্ড কফি থাকে। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এসে সেই ধারণা বদলে গেছে। এখন দেশটির সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, চলতি বছর মাত্র ৩৫৭ লাখ ব্যাগ কফি উৎপাদন হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল কফি সংস্থা জানিয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী কফির ব্যবহার বাড়বে। ফলন কম হওয়ায় এ সময় কফির চাহিদা সরবরাহকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কফির দাম রেকর্ড উচ্চতায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, করোনার কারণে এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের গৃহস্থালির খরচ বেড়েছে। আর রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সেই খরচ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কফির বাড়তি দামের কারণেও চাপে পড়বেন দেশটির ভোক্তারা।