অনুমতি নিয়ে রপ্তানি করতে হবে কুঁড়ার তেল

কুঁড়ার তেলফাইল ছবি

অনুমতি নিয়ে রপ্তানি করতে হবে কুঁড়ার তেল। এই শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছে রাইস ব্র্যান অয়েল (কুঁড়ার তেল) ও রাইস ব্র্যান ক্রুড অয়েল। আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুঁড়ার তেল রপ্তানির সুযোগ বহাল থাকল।

এক দশক ধরে দেশে কুঁড়ার তেলের উৎপাদন বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি বেড়েছে।

শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭–এর আওতায় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রাইস ব্র্যান, পরিশোধিত রাইস ব্র্যান অয়েল ও অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান অয়েল অন্তর্ভুক্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড হোয়াইট গোল্ড ব্র্যান্ড নামে প্রথম ধানের কুঁড়ার এই তেল উৎপাদন শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় এসেছে।

দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৩ লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশে মোট ২০টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল রয়েছে। এসব মিলের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।