করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ ইআরএফের

প্রাক্‌-বাজেট আলোচনা

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আগামী অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। এ ছাড়া একক ভ্যাট হার ৭ শতাংশ করার সুপারিশও করেছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক্‌–বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ইআরএফ নেতারা বাজেট নিয়ে ৩৭টি প্রস্তাব দেন। আগারগাঁও এনবিআর ভবনে এ আলোচনা সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। ইআরএফের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি দৌলত আক্তার।

ব্যাংকে টাকা রাখায় আবগারি শুল্কে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইআরএফ। ইআরএফ বলেছে, কর পরিশোধিত আয় থেকে একজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে মুনাফার ওপর ১০-১৫ শতাংশ কর কাটা হয়। আবার ব্যাংকের জমা স্থিতির ভিত্তিতে আবগারি শুল্ক কাটা হয়। এমনিতেই মানুষের সঞ্চয় সক্ষমতা কমেছে। আবার বিভিন্ন ভীতির কারণে অনেকে ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইছেন না। এ রকম অবস্থায় ৫-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।

ইআরএফের সুপারিশগুলো মধ্যে অন্যতম হলো বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত রাখা; ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা; সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন গণমাধ্যমসহ এ খাতের কর হার কমিয়ে আনা; নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা উপকরণের করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা।