১৯ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করবে বিডা
তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানিসহ মোট ১৯টি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ জন্য সংস্থাটি একটি হিটম্যাপ তথা গতিশীল পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
আজ বুধবার বিডার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ হিটম্যাপ বা পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, সংস্থাটি দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও কার্যকরভাবে কাজ করবে।
বিডা বলেছে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ কম এবং গত কয়েক বছর ধরে তা একটি স্থির প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত দুই অর্থবছরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কমেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বিদেশি বিনিয়োগের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ, যা আগের তিন অর্থবছরের চেয়ে কম। অন্যদিকে দেশে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তার ৪৫ শতাংশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকারে এসেছে। বাকি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে আন্তকোম্পানি ঋণ বা বিনিয়োগ হিসেবে। অর্থাৎ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ তথা এফডিআই আকর্ষণে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।’
এমন দুরবস্থার পেছনে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে কাঠামোগত প্রচারণার অভাব রয়েছে বলে মনে করে বিডা। এ জন্য একটি হিটম্যাপ তৈরি করে পরিকল্পিত বিনিয়োগ প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
বিডার হিটম্যাপে প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৯টি খাতকে চিহ্নিত করে এসব খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কাজ করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, বস্ত্র (অ্যাডভান্সড টেক্সটাইল ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল), নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, চামড়া, অটোমোবাইল ও সরঞ্জাম, ওষুধ, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, জুতা, ইলেকট্রনিকস, সেমিকন্ডাকটর, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, খেলনা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, তথ্যপ্রযুক্তি, সরবরাহ ও এপিআই।
বিডার কর্মকর্তারা জানান, হিটম্যাপ তৈরির জন্য তাঁরা বেসরকারি খাতের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা খাতভিত্তিক বৈশ্বিক বাজারের আকার, প্রবৃদ্ধি, স্থানীয় ভোগ, রপ্তানির পরিমাণ, জিডিপিতে অবদান, বর্তমান এফডিআই পরিস্থিতি, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক সম্পদে প্রবেশাধিকার, উদ্ভাবনী দুর্বলতা, কর্মসংস্থান, সংযোগশিল্প, সরকারের নীতি প্রভৃতি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েছেন।